ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজা: স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে জামিন দিল হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

জয়পুর: ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে জামিন দিল রাজস্থান হাইকোর্ট। সোমবার স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। শর্ত সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরুর সাজা স্থগিত ও জামিন মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। তার আইনজীবী আর এস সালুজা জানান, মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত আসারামকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামের বিরুদ্ধে দুটি ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছিল। দুটি মামলাতেই ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে যোধপুর ও গান্ধীনগর আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় আসারামকে। যদিও এদিন শর্ত সাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, আসারাম তার অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। মামলার প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। তার সঙ্গে থাকবেন তিনজন গার্ড, যার খরচ বহন করতে হবে আসারামকেই। অর্থাৎ ১১ বছর পর জামিনে জেল থেকে বের হবেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু।

Read More: জম্মু ও কাশ্মীরের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা জওয়ান

এদিকে সম্প্রতি চিকিৎসা জনিত কারণে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ মার্চ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টও শর্ত বেঁধে দিয়ে জানায়, আসারাম তার অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। কেবলমাত্র মানবিক কারণে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। জামিনের শর্ত মেনে চলার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, গুজরাটের গান্ধীনগরে নিজের আশ্রমের এক মহিলাকে ধর্ষণ করেন আসারাম বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে নিজের আশ্রম থেকে ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। ধর্ষিতা মহিলা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। অপর আরেকটি ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। পাঁচ বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর তার সাজা ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে, আসারামের ছেলে নারায়ণ সাই ২০১৩ সাল থেকে লাজপুর জেলে বন্দি রয়েছেন। তাকে ২০১৯ সালে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। নারায়ণ সাই বর্তমানে সুরাটের লাজপুর জেলে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *