মানবজীবনে ভয়ংকর সংকট আসন্ন: প্রকৃতি বাঁচানোর ডাক ওয়াংচুকের

শেয়ার করুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই, সেই বার্তা নিয়েই দেশজুড়ে ‘ধন্যবাদ পদযাত্রা’ শুরু করেছেন জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী সোনম ওয়াংচুক। দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু গিয়ে প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এবার কলকাতায় এসে প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচানোর ডাক দিলেন তারকা উদ্ভাবক সোনম ওয়াংচুক। এর আগে ‘লাদাখ বাঁচাও, হিমালয় বাঁচাও’ লড়াই শুরু করেছিলেন জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী। সেই লড়াইয়ে কলকাতার মানুষের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ওয়াংচুক বলেন, “লাদাখকে বাঁচানোর জন্য যখন লড়াই করছিলাম, তখন আপনাদের অনেক সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি। দেশের বড় বড় শহর লাদাখবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ লাদাখের মানুষ ও বাস্তুতন্ত্রের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।”

এরপরই প্রকৃতিকে বাঁচানোর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন গোটা পৃথিবীর জন্য বড় হুমকি। দ্রুত এর প্রভাব পড়বে বিশ্বে। ইতিমধ্যে হিমালয়ে বিপদ ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। অন্যত্র ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে হিমালয়ে চারগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাদাখে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সেখানে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠছে। প্রকৃতির রোষানলে পড়ে মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘পশ্চিমবঙ্গ ফলফন’ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে অংশ নিয়েছিলেন তারকা উদ্ভাবক সোনম ওয়াংচুক। কলকাতার মহাবোধি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সভাঘরে বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের যে সমস্ত জায়গায় প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রের উপর আঘাত নেমে আসছে, সেগুলিকে রক্ষা করতে হবে। নাহলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাবে। প্রকৃতির রোষের মুখে পড়তে হবে মানব সভ্যতাকে। ওয়াংচুকের বক্তব্য, “ইতিমধ্যে জলের সংকট শুরু হয়েছে, নদী গুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ সংকট দেশের সমস্ত রাজ্যে দেখা দেবে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে উত্তর ভারত সহ এশিয়ার বহু দেশ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *