অত্যধিক ক্ষমতাসম্পন্ন, মানবজাতিকে ধ্বংস করবে এআই: বিজ্ঞানী হিন্টন

শেয়ার করুন

সংবাদ হেডলাইন ডেস্ক: নব্বই দশকের কথা। কেবলই ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের শাখাগুলো পাখা মেলছে। ১৯৭০ সালের দিকে শুরু হলো নতুন শব্দের উন্মোচন। গুগল, ইউআরএল এবং ফাইবার অপটিক ব্রড ব্যান্ডের সঙ্গে সবে পরিচিত হচ্ছিল। কালের ধারায় সেগুলোই যেন আজ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে জীবনের সঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় বিপ্লব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বুলেট বেগে চলা এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে বিজ্ঞানের এক নতুন সংযোজন এটি। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যেভাবে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাতে বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার! ক্রমশই এমন আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।

বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বটের আবির্ভাবের পর থেকে সে সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে। এর আগে এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়ে গিয়েছেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী। এবার একই সুর শোনা গেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ‘গডফাদার’ জিওফ্রে হিন্টনের মুখে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই প্রযুক্তি আগামী ৩০ বছরে মানুষকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এআই অত্যধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে ওঠায় এই প্রযুক্তির বিপরীতে মানুষকে তিন বছরের শিশু হিসাবেও তুলনা করেছেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রফেসর হিন্টন। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর ধারণা, আগামী তিন দশকের মধ্যে মানুষের বিলুপ্তি ঘটানোর ১০ থেকে ২০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে এআইয়ের। যদিও এর আগে গত বছর এই সম্ভাবনার হার ১০ শতাংশ কম জানিয়েছিলেন তিনি। যত দিন গড়াচ্ছে, কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ বাড়ছে। তাই হারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেন তিনি বলেই জানিয়েছেন।

কি এই এআই?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এমন এক বিশেষ প্রযুক্তি, যা মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজ করতে সক্ষম। কম্পিউটার সিস্টেমে পরিচালিত অক্লান্ত এ প্রযুক্তি সার্ভিস দিতে সদা প্রস্তুত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এআইয়ের অতি ব্যবহারে মানুষের মনুষ্যত্ব, মানবতা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এআই ব্যবহারের লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই বিশেষ বৈঠক হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *