কোটায় ফের পড়ুয়ার মৃত্যু, হোস্টেলে মিলল নিট পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ

শেয়ার করুন

জয়পুর: কোটায় ফের পড়ুয়ার মৃত্যু। হোস্টেলে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন ১৮ বছর বয়সী নিট পরীক্ষার্থী। শুক্রবার তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা অভিজিৎ গিরি। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজস্থানের কোটায় আসেন। গত বছরের এপ্রিল থেকে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে নিটের প্রস্তুতি শুরু করেন অভিজিৎ। কোটার বিজ্ঞান নগর এলাকার আম্বেদকর কলোনিতে এক হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছিল সে। পড়াশোনায় মেধাবী ছিল নিট পরীক্ষার্থী। কোনওদিনই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতেন না।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ হোস্টেলের এক কর্মী অভিজিতের ঘরে খাবার নিয়ে যায়। দরজায় নক করার পরও সে দরজা খোলেনি। এমনকি তাঁর কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হওয়ার পর হোস্টেলের আরও কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় অভিজিতকে। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে।

ঠিক কি কারণে আত্মহত্যা করল ওই পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্র! তা ভাবাচ্ছে পুলিশ কর্তাদের। মৃত্যুর কারণে খুঁজতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক লাল সিং তানওয়ার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে পড়ুয়া। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পড়ুয়ার পরিবারকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

এদিকে ২০২৪ সালে ১৭টি পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল কোটায়। লাগাতার পড়ুয়া আত্মহত্যা ঠেকাতে প্রত্যেকটি মেস ও হোস্টেল ঘরের সিলিং ফ্যানে সুইসাইড প্রিভেনশন ডিভাইস লাগানো বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দিয়েছিল কোটা জেলা প্রশাসন। কিন্তু অভিজিতের ঘরে কোনও ডিভাইস লাগানো ছিল না বলেই খবর। চলতি বছরে এপর্যন্ত কোটায় পর পর তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *