নিজস্ব সংবাদদাতা, ডোমকল: পাকা সেতু নেই। তাই ডোমকল ব্লকের মানিকনগর ও বর্তনাবাদের মধ্যে শিয়ালমারি নদী পেরোতে ভরসা বাঁশের সাঁকো। বড়দের পাশাপাশি খুদে পড়ুয়ারাও ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে যায়। বহু বছর ধরে স্থানীয়রা শিয়ালমারি নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, প্রতিবছর ভোটের আগে নেতারা সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট ফুরোলে আর কারও মনে থাকে না। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। বর্তনাবাদ হাটের পাশেই শিয়ালমারি নদীর উপর ওই বাঁশের সাঁকো রয়েছে। নদীর একদিকে মানিকনগর গ্রাম। অপরদিকে বিস্তীর্ণ বর্তনাবাদ এলাকা। কিছুটা দূরেই রয়েছে স্কুল। ওপারে মানিকনগরে প্রায় শতাধিক বাড়ি রয়েছে। বর্তনাবাদের লোকজন রোজ চাষবাস, ইটভাটায় কাজের জন্য নদী পেরিয়ে মানিকনগরে যান। ওপার থেকেও বহু মানুষ বর্তনাবাদে নানা কাজে আসেন। বিশেষত বর্তনাবাদ বিএমএফ হাইস্কুল সহ আশপাশের নানা স্কুলে মানিকনগর থেকে পড়ুয়ারা আসে। মাত্র দেড়ফুট প্রস্থের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই তাদের স্কুলে পৌঁছতে হয়। বর্ষার সময় নদীতে বেশি জল থাকলে অনেকেই ভয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠান না। ওই বাঁশের সাঁকো না পেরোতে চাইলে প্রায় ছয় কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় তাদের। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা চাঁদা তুলে ওই বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছি। সেখান দিয়েই সবাই যাতায়াত করে। আমরা চাই, এখানে পাকা সেতু তৈরি হোক। তাহলে মানুষের ভোগান্তি কমবে। স্কুল পড়ুয়া বাবু শেখ বলেছে, একবার পাড়ের দিকে পৌঁছে হঠাৎ সাঁকো থেকে পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। জল বেশি ছিল না বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। বর্ষার সময়ে মাঝেমধ্যে স্কুল কামাই করতে হয়। এবিষয়ে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই সেতুর সমস্যা আমাদের নজরে রয়েছে। এখন টাকার সমস্যা আছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওখানে একটা কালভার্ট করে দু’পাড়ে মাটি তুলে যাতায়াতের সুব্যবস্থা করব।