নিজস্ব সংবাদদাতা, সুতি: রেললাইনে ‘বোমাতঙ্ক’ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের নিমতিতায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুতি থানার নিমতিতা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় জড়িত ২ যুবককে পাকড়াও করে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, রেললাইনের ধারে বোমা রেখে চম্পট দিচ্ছিল অভিযুক্তরা। তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কি উদ্দেশ্যে ‘বোমাতঙ্ক’ ছড়ানো হয় তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক দুই যুবকের নাম মদন কুণ্ডু ও সাগর বিশ্বাস। ধৃতরা সুতি থানার দফাহাট এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ, সাগর এবং মদন রেল লাইনের ধারে বোমা রেখেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বোমাতঙ্কের জেরে নিমতিতা স্টেশনে ঘণ্টাখানেক ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বেশ কিছুক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল বারহাড়োয়া ও আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার ট্রেন। পাশাপাশি ধুলিয়ান গঙ্গারোড স্টেশন ও জঙ্গিপুর রোড স্টেশনেও রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০২১ সালে এই নিমতিতা স্টেশনে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলা করা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে হঠাৎ কি উদ্দেশ্যে এবং কেন রেল লাইনের ধারে ওই দুই যুবক বোমা আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করলো, তার তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
যদিও পুলিশের দাবি, কালো প্যাকেটে বোমা নয়, পাথর রাখা ছিল। রেললাইনের পাথর কালো প্লাস্টিকের মধ্যে মুড়ে রেল লাইনের ধারে ফেলে রেখে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল তাঁরা।
অন্যদিকে নিমতিতা স্টেশনে বোমাতঙ্কের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এসডিপিআই-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। পুলিশ সাগর দাস ও মদন কুন্ডু নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করলেও মূল ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এসডিপিআই-এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই ঘটনা তিন বছর (২০২১-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি) আগের আরেকটি বিকট বিস্ফোরণের ঘটনার কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সেই বিস্ফোরণে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক ও শিল্পপতি জাকির হোসেন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গেলেও তার একটি পা এখনও অকেজো। কেনো নিমতিতা স্টেশনকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এসডিপিআই-এর রাজ্য সভাপতি।