শ্রীনগর: ফের রক্ত ঝরল উপত্যকায়। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলেন সেনা বাহিনীর এক অফিসার। শনিবার জম্মু কাশ্মীরের কেরি ভাটল এলাকায় সেনা-জঙ্গির ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সেনা বাহিনীর এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও)। সূত্রের খবর, শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) একই এলাকায় সন্ত্রাসীদের আইইডি বিস্ফোরণে একজন ক্যাপ্টেন সহ দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি এক সেনা আহত হয়েছে।
সেনা জানিয়েছেন, আখনুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর এক অফিসার নিহত হয়েছেন। নিহত অফিসার সুবেদার কুলদীপ চাঁদ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তবে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে সেনা।
জুনিয়র কমিশনড অফিসারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এক্স বার্তায় বলা হয়েছে, “জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) হোয়াইট নাইট কর্পস (লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি কে মিশ্র) এবং সকল পদমর্যাদা ৯ পাঞ্জাবের সাহসী কুলদীপ চাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তিনি ১১ এপ্রিল রাতে সুন্দরবানীর কেরি বাট্টাল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বীরত্বের সাথে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার ছাতরু বনাঞ্চলে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে খতম করে সেনা। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছাতরু বনাঞ্চলে যৌথ অভিযান চালায় কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। সেনার গুলিতে একজন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, “প্রতিকূল পাহাড়ি এলাকা এবং আবহাওয়া হওয়ার পরও আমাদের সাহসী সেনারা অভিযান চালায়। আমাদে সেনারা সফল হয়েছে।” গত মাসে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উপত্যকার কাঠুয়া জেলায় অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা। তারপর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনা। প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে চার পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি দুই সন্ত্রাসীবাদীকেও খতম করা হয়।