ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর: আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে। এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সব বিচার করবে আইন বিভাগ। কোনো গাফিলতি হবে না। হাসান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদেরের মত বদমাশরা কেন পালিয়ে গেলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সেই প্রশ্ন করা হবে। শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন আসিফ নজরুল। শেখ হাসিনা আমলের গুম-খুন ও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক আলোচনায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটররাও (পিপি) পালিয়ে গেছে। ৫১ জেলা থেকে পিপিরা গায়েবি মামলার তথ্য পাঠিয়েছে। এরপরই আসিফ নজরুল সাফ জানান, এই সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।
এদিনের আলোচনার শুরুতেই কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। গত ১৬ বছরে দেশে ঘটা সব হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব গুমের বিচার দাবি করেন তারা। এসময় ইসলামি বিশ্বিবদ্যালয়ের দুই ছাত্র গুমের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের গুমের সংস্কৃতি শুরু বলে অভিযোগ করেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানায়, এখনো গুমের বিচার শুরু করেনি অন্তবর্তী সরকার। এবিষয়ে আইনী উপদেষ্টা বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।
আসামিদের হাতকড়া পরানোর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।