গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র, অভিনব উদ্যোগ জম্মু-কাশ্মীরে

শেয়ার করুন

শ্রীনগর: গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র। জম্মু-কাশ্মীরের সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত প্রতীক ‘চিনার’ গাছের বিলুপ্তি ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দ্রুত নগরায়নের ফলে কাশ্মীরবাসীর জীবনযাত্রায় উন্নতি হলেও পরিবেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করছে। ভূস্বর্গ হারাতে বসেছে তার অন্যতম আকর্ষণ ‘চিনার’ গাছ। এই গাছের বিলুপ্তি রক্ষা করতে অভিনব পদক্ষেপ নিলো জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিটি গাছে কিউআর কোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযুক্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে চিনার গাছের সংখ্যা। ১৯৭০ এর দশকে ৪২ হাজার গাছ ছিল ভূস্বর্গে। কিন্তু এখন সেটা কমে ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই চিনার গাছ বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিটি গাছের আধার নাম্বার থাকবে, যা আমরা ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছি। প্রতিটি গাছেই কিউআর কোড যোগ করা হয়েছে, যা স্ক্যান করলেই গাছটির যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা ২৮ হাজার ৫৬০টি গাছের জরিপ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গাছের জন্যও তৈরি হবে পরিচয়পত্র।

নতুন এই উদ্যোগ ফলে গাছের অবস্থান, স্বাস্থ্য, কীভাবে গাছটি বেড়ে উঠছে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে ওই কিউআর কোডে। গাছগুলোর আশপাশে প্রকৃতি বদলাচ্ছে কি না, কোনোভাবে গাছের ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটাও জানা যাবে। পরিবেশবীদরা বলছেন, সাধারণত একেকটি চিনার গাছ পরিপক্ক হতে ১৫০ বছর সময় লাগে। ৩০ মিটার লম্বা হয় গাছগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *