সংবাদ হেডলাইন ডেস্ক: এখনও জ্বলছে লস অ্যাঞ্জেলস। প্রবল হাওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। বেড়ে চলেছে মৃত্যুমিছিল। এই আগুনের লেলিহান শিখা প্রাণ কেড়েছে ২৪ জনের। নিখোঁজ বহু। আগুনের গ্রাসে অন্তত ১২ হাজার বাড়ি। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। বিধ্বংসী আগুন গ্রাস করেছে একের পর এক বাড়ি, স্কুল, দোকান। ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে ছাই। তার মধ্যেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। কারণ আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়ছেন দমকলকর্মীরা।
লস অ্যাঞ্জেলসের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যাসিফিক প্যালিসাডেস এবং আল্টাডেনা। এই দুই জায়গায় বসতি এলাকায় আগুন লেগে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে সরানো হয়েছে অন্যত্র। এছাড়া জানা গেছে, ক্যালিফর্নিয়ায় আগুন নেভাতে ডাকা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডকে। টানা পাঁচদিন ধরে দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ছয়টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর একটি শনিবার দিক পরিবর্তন করেছে।
এতে নতুন করে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন হুমকির মুখে পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আবহাওয়া দফতর আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত জোরাল বাতাস বইবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসের চার জায়গায় সক্রিয় দাবানল রয়েছে।
এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর এক দৃশ্য সামনে এসেছে। ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডোর সময় যেমন বাতাস পাক দিয়ে আকাশ থেকে নেমে আসে, আশেপাশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়, তেমনই আগুনের শিখা টর্নেডোর বাতাসে মিশে আকাশে উঠতে দেখা গিয়েছে। এগুলিকে ফায়ার হুইলস, ফায়ার ডেভিলস বা ফায়ারনেডো (আগুন+টর্নেডো) বলা হয়। হ্যারিকেন বাতাস স্যান্টা আনা, যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইল, সেই দমকা বাতাসের জন্যই আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনা আমেরিকার ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর দাবানল বলে মনে করা হচ্ছে। দাবানলে এখনও পর্যন্ত ১৩৫ থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।