সংবাদ হেডলাইন ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। বছরে একবার নয়, এবার থেকে একই ক্লাসে দুবার করে হবে পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষায় বড়সড রদবদলের কথা ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতি। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর থেকে চালু হচ্ছে ক্রেডিট ভিত্তিক সেমিস্টার সিস্টেম। এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী।’ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি করা হবে পড়ুয়াদের। যে কারনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে। জানুয়ারি থেকে জুলাই প্রথম সেমিস্টার, আর জুলাই থেকে ডিসেম্বর দ্বিতীয় সেমিস্টার। প্রতি ক্লাসে পরীক্ষা হবে বছরে দু’বার’।
জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপর ভিত্তি করে এনসিইআরটি একটি কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, ‘এনসিইআরটি সিলেবাসের রূপরেখা তৈরি করে। গোটা দেশেই এই ক্রেডিট ভিত্তিক সেমিস্টার চালু করতে হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি করবে পর্ষদ। হোমওয়ার্ক করলে আনলে পরীক্ষার পাওয়া নম্বরের সঙ্গে ক্রেডিটও পাবে পডুয়ারা।’ আপাতত পুরনো সিলেবাসে চালু হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে নতুন সিলেবাসও। এদিকে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগের মতোই দশম শ্রেণিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠনে অবশ্য আপত্তি নেই উচ্চ শিক্ষা সংসদের। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বিকাশভবনে।