পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ: চাকরিপ্রার্থীদের নির্মমভাবে পেটাল নীতীশ পুলিশ

শেয়ার করুন

পটনা: বিহারে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ে ধুন্ধুমার। আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে পেটাল নীতীশ পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ তুলতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ বলে অভিযোগ। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশ ও আন্দোলনকারী মধ্যে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছে এবং জলকামান ছুড়েছে।

 

গত ১৩ ডিসেম্বর প্রিলিমিনার পরীক্ষা হয়। অভিযোগ ওঠে পরীক্ষা হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু। পরীক্ষায় কারচুপি এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার রাতে সেই দাবিতে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী পটনার গান্ধী ময়দানে জড়ো হন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়িতে মিছিল করে এগোতে শুরু করলে পুলিশ তাঁদের থামাতে লাঠিচার্জ করে। পরীক্ষার্থীদের দাবি, ‘পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।’

 

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা। রবিবার তারা জেপি গোলামবারে পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে পটনার গান্ধী ময়দানেও। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। বিহারের জনসূরজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ছাত্রদের আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছিলেন পিকে, এমনটাই অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, গান্ধী মূর্তির সামনে ছাত্রদের নিয়ে জমায়েত করার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি জন সুরাজ পার্টিকে। তা সত্ত্বেও তারা জমায়েত করে। ফলে প্রবল ভিড়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

 

সোমবার এনিয়ে পিকে বলেন, কিছু পুলিশ আধিকারিক আসলে হিরোগিরি দেখানোর চেষ্টা করছেন। গান্ধী ময়দানে জমায়েত হলেও তার জন্য যান চলাচল মোটেও ব্যাহত হয়নি। কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়নি। প্রশান্ত কিশোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের বলে দিলাম, আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর করব। আমরা কোর্টে যাব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *