অবৈধ অভিবাসী: ট্র্যাভেল এজেন্টেদের বিরুদ্ধে মামলা পঞ্জাব ও হরিয়ানা পুলিশের

শেয়ার করুন

চণ্ডীগড়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরাত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এনিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে মোদি সরকার। যে সংস্থা ভারতীয়দের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় পাঠিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার সেই ঘটনায় ট্র্যাভেল এজেন্টেদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পঞ্জাব ও হরিয়ানা পুলিশ। দেশে ফেরত ভারতীয় অভিবাসীরা অভিযোগ করেছে, মোটা টাকা নিয়ে তাদের প্রতারিত করেছে ট্রাভেল এজেন্টরা। তাদের অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে। এক অভিবাসীর কথায়, “‘ডাঙ্কি’ রুট দিয়ে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়।”

ইতিমধ্যে পঞ্জাবের অমৃতসর জেলা থেকে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত অবৈধভাবে ভারতীয়দের আমেরিকায় পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সতনাম সিং। অমৃতসরের ভিন্ডি সাইদান থানার কোটলি খেহরা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত। এজেন্টদের বিরুদ্ধে অন্যান্য থানাতে কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে পুলিশ।

সম্প্রতি ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প। তার মধ্যেই ছিলেন দালের সিং নামের এক ব্যক্তি। তিনি পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার রাজাসানসির সালেমপুরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, “২০২৩ সালে আমার এক আত্মীয়র মাধ্যমে ট্র্যাভেল এজেন্ট সতনাম সিংয়ের সাথে পরিচয় হয়। আমাকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য তিনি ৬০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। আমি তাতে রাজি হয়েছিলাম। সেমত সতনাম সিংয়ের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলাম এবং তাকে আমার পাসপোর্টও দিয়েছিলাম।”

দালের সিংয়ের অভিযোগ, ‘গত বছরের ১৫ আগস্ট তিনি আমাকে দুবাই পাঠান, সেখানে আমি প্রায় ছয়-সাত দিন ছিলাম। এরপর আমাকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়। ২৬ আগস্ট আমার স্ত্রী চরণজিৎ কৌর এবং ভগ্নিপতি গুরসেবক সিং সতনাম সিংকে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা দেন। কিছুদিন পর আমার স্ত্রী আরও ৬ লাখ টাকা সিংয়ের অ্যাকাউন্টে দিয়েছিলেন। ১ জানুয়ারি আমার স্ত্রী ও দেওরদ মেক্সিকো থেকে আমেরিকা সীমান্ত পার হওয়ার জন্য এজেন্টকে ৩৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিল।’ তার কথায়, ‘চুক্তি অনুযায়ী আমাকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর কথা থাকলেও ট্র্যাভেল এজেন্ট অবৈধভাবে আমাকে আমেরিকায় পাঠানো হয়।’

পঞ্জাবের এনআরআই বিষয়ক মন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল বলেছেন, সরকার এই জাতীয় অন্যান্য এজেন্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছে। ট্র্যাভেল এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *