হায়দরাবাদ: বিপুল কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলছে হায়দরাবাদে। তেলঙ্গানায় আইটি ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করতে চলেছে ইনফোসিস। এর ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যটি। ইতিমধ্যে তেলঙ্গানা সরকার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে আইটি সংস্থাটি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এক যোগে কাজ করা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সম্মত হয়েছে নারায়ণ মূর্তির ইনফোসিস। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তেলেঙ্গানার তথ্যপ্রযুক্তি ও শিল্পমন্ত্রী ডি শ্রীধর বাবুর সঙ্গে বৈঠক করেন আইটি সংস্থার সিএফও জয়েশ সংঘরাজকার। তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠকের পর ইনফোসিস জানিয়েছে, হায়দরাবাদের পোচারামে আইটি ক্যাম্পাসের সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
Read More: সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, বন্ধ হোক লিভ-ইন সম্পর্ক: দাবি হরিয়ানায়
ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের ফলে অতিরিক্ত ১৭ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ক্যাম্পাস ৩৫ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে সংস্থাটি। সবমিলিয়ে দেশের বৃহত্তম ক্যাম্পাসগুলির মধ্যে একটি তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদে। জানা গিয়েছে, নতুন আইটি ক্যাম্পাসটি নির্মাণের জন্য ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সংস্থার সিএফও জয়েশ সংঘরাজকার বলেছেন, “আইটি সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করতে তেলেঙ্গানা সরকারের সঙ্গে আমরা অংশীদারিত্ব বাড়িয়েছি। এর ফলে সামাজিক উন্নয়নের অগ্রগতি ঘটবে।”
Wipro has been a key partner in Hyderabad’s IT growth and local workforce development.
The Government of #Telangana and #Wipro Limited have reaffirmed their partnership to boost the technology sector and create more jobs in the state with Wipro’s campus expansion in Gopanpally… pic.twitter.com/o6qiYEz0mO
— Revanth Reddy (@revanth_anumula) January 23, 2025
অন্যদিকে, দাভোসে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির নেতৃত্বাধীন এক কমিটি। রাজ্যে একটি ড্রোন (ইউএভি) উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে জেএসডাব্লুয়ের সাথে একটি চুক্তি স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সংস্থাটি রাজ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে সফটওয়্যার এবং ফার্মা সেক্টরে বিশ্ব বাজারে ভালো জায়গার ছিল হায়দরাবাদ। আমাদের সরকার বর্তমানে তেলেঙ্গানাকে সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা এবং এফএমসিজি সহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য রাজ্যকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। চিনের প্লাস ওয়ান কৌশলের জন্য তেলেঙ্গানা বিশ্বের কাছে পছন্দের বিকল্প হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। আমার সরকারের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে।”