চিকিৎসায় মারাত্মক গাফিলতি: বাঁম পা ভাঙলেও অস্ত্রোপচার ডান পা’য়ে

শেয়ার করুন

লখনই: বাঁম পা ভেঙেছে এক বৃদ্ধার। কিন্তু অপারেশন করা হল ডান পা। যোগী রাজ্যে এমনই এক চিকিৎসায় গাফিলতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এক অর্থোপেডিক চিকিৎসক বাঁম পা’য়ের বদলে ডান পা’য়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য চড়িয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বৃদ্ধার পরিবার।

জানা গিয়েছে, কানহাই থানা এলাকার বাসিন্দা ভুইলা দেবী পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট পান। তার পরিবার তৎক্ষণাৎ তাকে সুলতানপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক্স-রে করা হয়। কিন্তু এক্স-রে বাম পা ভেঙেছে বলে চিহ্নিত করা হয়। তারপরই চিকিৎসক জানান, পা’য়ের অস্ত্রোপচার করতে হবে। সেমত ভুইলা দেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সফল ভাবে বৃদ্ধার পায়ের অস্ত্রোপচার করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পরেই ভুইলা দেবীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে আনা হয়। তারপরই ডান পায়ে ব্যান্ডেজ দেখে হতবাক হয়ে যায় পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, সার্জন ভুল করে ভুল পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। এই ঘটনায় হাসপাতালে সোরগোল পড়ে যায়। যদিও ওই সময় চিকিৎসক পি কে পাণ্ডে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভুল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বুঝতে পেরেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক।

এদিকে বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অস্বস্তিতে পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। চাপের মুখে পড়ে ফের ভুইলা দেবীকে অপারেশন রুমে নিয়ে গিয়ে তাঁর বাঁ পা’য়ে সঠিক অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অবহেলার জ্বলন্ত উদাহরণ এই ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করে।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, বাঁ পায়ের সকেট ভেঙে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। ডান পা ফুলে রক্ত জমাট বেধেছিল বলে সেখানেও অস্ত্রোপচার করে রক্ত বার করা হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই যুক্তি মানতে পারেনি বৃদ্ধার পরিবার। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবীর পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। গোটা ঘটনাটি যথাযথ তদন্ত করবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সুলতানপুর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *