সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, বন্ধ হোক লিভ-ইন সম্পর্ক: দাবি হরিয়ানায়

শেয়ার করুন

চণ্ডীগড়: লিভ-ইন সম্পর্ক ও প্রেম করে বিবাহ করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে উদ্বেগজনক ভাবে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। এমনই দাবি করে হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধনের দাবি তুললেন অখিল ভারতীয় দেশওয়াল খাপ সংগঠন। ইতিমধ্যে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে একগুচ্ছ দাবিসমূহ এক স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্বরা। অখিল ভারতীয়র প্রধান সঞ্জয় দেশওয়াল বলেছেন, লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা, প্রেম করে বিবাহ করার জন্য বাবা-মায়ের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা, একই গোত্র এবং নিজের গ্রামে বিবাহের উপর বিধিনিষেধ আরোপের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সমলিঙ্গে বিবাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

শুক্রবার রাজ্যের প্রায় এক ডজন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির সাথে দেখা করেছেন। সেখানেই লিভ-ইন সম্পর্ক ও প্রেম করে বিবাহ করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতগুলি গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য হিন্দু বিবাহ আইনে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রাজ্যের রোহতক জেলার একটি গ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনার কথা তুলে ধরে সঞ্জয় দেশওয়াল বলেন, “তিন সন্তানের এক মা তার স্বামী ও সন্তানদের রেখে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তারপর তারা একসঙ্গে থাকছেন। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। যদি কেউ লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে চাই, তবে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগের বিবাহে ছেদ টানতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একারনেই সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে এবং আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষতি করছে।”

সমকামী বিবাহ নিষিদ্ধ করে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ দাবি করেছেন অখিল ভারতীয় দেশওয়াল খাপের প্রধান। তিনি বলেছেন,”একই গ্রাম, প্রতিবেশী গ্রাম এবং একই গোত্রের মধ্যেও বিয়ে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ, আমাদের সংস্কৃতিতে একই গ্রাম বা উপবর্ণের মেয়েদের বোন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ধরনের বিয়ে আমাদের সামাজিক বন্ধন নষ্ট করবে।” হরিয়ানার রোহতক, সোনিপত, হিসার এবং জিন্দের মতো জেলাগুলিতে এই প্রথাগুলি নিষিদ্ধ রয়েছে বলে দাবি দেশওয়ালের। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন, যে রাজ্য সরকার তাদের দাবিগুলি বিবেচনা করবে এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করতে হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *