ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার অপরিহার্য নয়: এলাহাবাদ হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

এলাহাবাদ ও মুম্বাই: ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার অধিকার নয়। লাউডস্পিকারের ব্যবহারকে অধিকার হিসাবে দাবিও করা যায় না। শুক্রবার এক মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন মুক্তিয়ার আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় আদালতে।

বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ধর্মীয় স্থানগুলিতে প্রার্থনা এবং ভক্তির জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহারকে অধিকার হিসাবে দাবি করা যায় না। লাউডস্পিকার প্রায়শই বাসিন্দাদের সমস্যা তৈরি করে। মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারে রাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, এদিন রাজ্যের সেই আপত্তিকেই মান্যতা দিয়েছে আদালত। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছেন, আবেদনকারী মসজিদের মালিক নন ও মুতাওয়ালি পদাধিকারীও নন। ফলে লোকাস স্ট্যান্ডির অভাব রয়েছে। এরপরই মামলাটি খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, একইভাবে ২০২২ সালের মে মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার মৌলিক অধিকার হিসাবে সুরক্ষিত নয়।

বম্বে হাইকোর্ট:

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার লাউডস্পিকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার অপরিহার্য নয় বলে মন্তব্য করে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস গডকড়ী এবং বিচারপতি এস সি চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, লাউডস্পিকার ব্যবহার কোনও ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয়। লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি অস্বীকার করলে কোনও ব্যক্তির অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এই শব্দ দূষণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এরপরই শব্দ দূষণ বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শব্দ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অটো-ডেসিবেল লিমিট সহ ক্যালিব্রেটেড সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। এই মর্মে রাজ্যকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

মসজিদের আজান এবং অন্যান্য ধর্মীয় কারণে যে শব্দ দূষণ ছড়াচ্ছে হচ্ছে তাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে দাবি করে মুম্বাইয়ের কুরলা শহরতলির দুটি আবাসন সমিতি। তারা মসজিদের লাউডস্পিকার বন্ধে পুলিশী নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলে। বম্বে হাইকোর্ট মামলা দায়ের করে জাগো নেহেরু নগর রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং শিব সৃষ্টি কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিজ লিমিটেড। মামলাকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, লাউডস্পিকার শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি-২০০০ এবং পরিবেশ (সুরক্ষা) আইন-১৯৮৬ লঙ্ঘন করছে। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের কুরলা শহরতলির দুটি আবাসন সমিতির দায়ের করা মামলায় এই রায় দেয় আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *