তিনদিন বন্ধ ইসলামপুরের ভৈরব সেতু: কোন পথে যান চলাচল? বিকল্প রুট জানাল পুলিশ

শেয়ার করুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডোমকল: টানা তিনদিন বন্ধ থাকবে ইসলামপুরের ভৈরব সেতু। আগামী তিনদিন সেতু পুরোপুরি ভাবে বন্ধ থাকবে। ওই কদিন কোনওপ্রকাশ যানবাহন চলবে না সেতু দিয়ে। এমনকি দু’চাকার মোটর বাইক চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদিও জন সাধারণ ও যাত্রীদের কথায় মাথায় রেখে বিকল্প রুট ব্যবহারের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ডোমকল মহকুমার এসডিপিও শুভম বাজাজ জানিয়েছেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর সেতু পুরোপুরি ভাবে বন্ধ থাকবে। তিনদিন কোনওরকম যানবাহন চলবে না।

কিছু দিন আগে ভৈরব সেতুর একটা অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় সংস্কারও করা হয়েছিল। এবার সেই সেতু কতটা ভার বহনে সক্ষম, সেই পরীক্ষার (লোড টেস্ট) জন্য আগামী তিন দিন সেতু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে ডোমকলের এসডিপিও জানান, জনসাধারণ ও যাত্রীদের দুর্ভোগ এড়াতে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হবে। নিদিষ্ট কিছু রুট ঠিক করা হয়েছে। সেই রুট ধরেই যান চলাচল করবে। জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে পুলিশি সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।

বিকল্প কোন পথে দিয়ে যান চলাচল করবে? প্রত্তুরে এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেছেন, রুট-১-বহরমপুর-পঞ্চাননতলা-ভাকুড়ি মোড়-হরিহরপাড়া-চোয়া-গজনিপুর-করিমপুর-গঙ্গাধারী ব্রীজ-জিতপুর বাজার-থানারপাড়া-করিমপুর-জলঙ্গী-ডোমকল। রুট-২-ইসলামপুর-নাজিরপুর-ডোমকল (পুরোনো বিডিও মোড়)-গাবতলা-ভাতশালা-জুগিন্দা-বাগডাঙ্গা-কুশাবেড়িয়া-গঙ্গাধারী ব্রীজ-গজনিপুর-চোয়া-হরিহরপাড়া-ভাকুড়ি মোড়-বহরমপুর।

(নিজস্ব চিত্র)

ইসলামপুরের সেতুটি অনেক পুরনো। ব্যস্ত ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শয়ে শয়ে যানবাহন চলাচল করে। ডোমকল মহকুমার সঙ্গে বহরমপুরের যোগাযোগ স্থাপিত হয় ওই সেতু দিয়ে। এছাড়া, নদিয়ারও একটা অংশের বাসিন্দারা এই সেতু ব্যবহার করে থাকেন। ফলে এমন গুরুত্বপূর্ণ সেতু তিন দিন পুরোপুরি বন্ধ রাখায় দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “সেতুটি অনেক পুরনো। কিছু দিন আগে সেতুর রাস্তার একটি জায়গায় বসে গিয়েছিল। পরে সেটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় আমরা লোড টেস্ট করতে পারিনি। আগামী তিন দিন আমরা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রেখে ওই পরীক্ষা করব। ওই পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে, সেতুটি কী অবস্থায় রয়েছে। তার উপর দিয়ে কত ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে, তাও নির্ধারণ করা যাবে। সেতুটি যানবাহন চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে কি না, তাও বোঝা যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *