জয়পুর: শুক্রবারের পর শনিবার ফের আত্মহত্যা করল এক পড়ুয়া। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে জেইই (জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন) এক পরীক্ষার্থী। মৃতের নাম মনন শর্মা। শনিবার কোটার জওহর নগর থানা এলাকায় দাদুর বাড়িতে আত্মহত্যা করে সে। পরীক্ষার মাত্র চার দিন বাকি ছিল, তাঁর আগেই নিজেকে শেষ করে দিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। মৃতের মামা জানিয়েছেন, ভাগ্নে প্রায় তিন বছর ধরে কোটায় পড়াশোনা করছে। সে খুব মেধাবী ছাত্র। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ভাগ্নে কেন এমন পদক্ষেপ নিল বুঝতে পারছি না।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে মননকে ফোন করা হলেও সে ফোন ধরেনি। ওই এলাকাতেই থাকত তাঁর চাচাতো ভাই। তাঁকে ফোন করে মননকে ডেকে দিতে বলা হয়। তারপর সে মননের ঘরে গিয়ে দেখে সে গলাই ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের ওই ছাত্র জানালার রডে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজস্থানের বুন্দি জেলার ইন্দ্রগড় এলাকার বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। এক পুলিশ কর্তা জওহর সিং জানিয়েছেন, ছাত্রের পরিবার দেহ ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেছে। তাঁর মামা মহাবীর জৈন বলেছেন, বাবা-মায়ের সম্মতিতে ভাগ্নের চোখ দান করা হয়েছে।
চলতি মাসে এপর্যন্ত পর পর চারটি আত্মহত্যার ঘটনা। উল্লেখ্য, শুক্রবার ওড়িশার এক নিট পড়ুয়া ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। গত ৭ জানুয়ারি হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা নীরজ জাট (১৯) জওহর নগর এলাকায় নিজের হস্টেলের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ৮ জানুয়ারি বিজ্ঞান নগর থানা এলাকায় মধ্যপ্রদেশের গুনার বাসিন্দা ১৯ বছরের অভিষেক লোধাও ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার একইভাবে আত্মহত্যা করল আরেক পড়ুয়া। এদিকে একের পর এক পড়ুয়া আত্মহত্যা নিয়ে চাপে মুখে পড়েছে প্রশাসন। কেনো বাড়ছে পড়ুয়া আত্মহত্যা! প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।