নিজস্ব সংবাদদাতা, ডোমকল: বেরিয়ে এসেছে লোহার খাঁচা। ডোমকলের শিবনগরের কালভার্ট কার্যত মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়েই ঝুঁকির যাতায়াত চলছে বাসিন্দাদের। দিনে-রাতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। দিনের পর দিন কালভার্ট বেহাল হতে থাকলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁরা দ্রুত কালভার্টটি সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোমকলের ভগীরথপুর পঞ্চায়েতের শিবনগর দামোসের পাড়ে একটি নালার উপরে রয়েছে ওই কালভার্টটি। স্থানীয়দের দাবি, কালভার্টটির বয়স প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। প্রায় চার মিটার ওই কালভার্টের রেলিং আগেই ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটলও ধরেছে। কালভার্টের মাঝের দিকের একটি অংশে কংক্রিটের আস্তরণ পুরো ধসে গিয়ে বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। কয়েক ফুট গর্ত হয়ে গিয়েছে ওই জায়গা। ওই অংশে লোহার খাঁচা বেরিয়ে গিয়েছে। আশপাশের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। কালভার্টের এই হাল হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
ওই কালভার্টের উপর দিয়েই শিবনগর, পাড়দিয়ার, জিতপুর, গরিবপুর, বাগডাঙা এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। ওই রাস্তা দিয়েই শিবনগর হাইস্কুলের অনেক পড়ুয়া যাতায়াত করেন। এভাবে বিপজ্জনক কালভার্টের উপর দিয়ে পারাপারে বিপদ বাড়ছে। যে কোনও সময় বাকি অংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন। প্রশাসনের তরফ থেকেও ওই কালভার্টের উপর দিয়ে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। ফলে বেহাল কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে ট্রাক্টর, ইঞ্জিন ভ্যান। স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজুল মণ্ডল বলেন, কয়েক বছর ধরে কালভার্টের ওই অংশ ভেঙে বসে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই সবাই যাতায়াত করছেন। এভাবে ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় করে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। আর এক বাসিন্দা বলেন, প্রত্যেকবার ভোটের আগে ওই কালভার্ট তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। কিন্তু ভোট ফুরলে আর তাঁদের দেখা মেলে না। আর আমরা বিপদ বুঝেও ওই কালভার্টের উপর দিয়েই যাতায়াত করি। স্কুলের এক পড়ুয়ার কথায়, ভাঙা এই কালভার্টের রেলিংও ভাঙা। এর উপর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে খুব ভয় করে। কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। ভগীরথপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আফতাবুদ্দিন জানিয়েছেন, ওই সমস্যার কথা আমরা জানি। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। পঞ্চায়েতের কাছে কালভার্টটি সংস্কার করার মতো ফান্ড নেই। আমরা পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের জানিয়েছি। শুনেছি সেটি সংস্কারে জেলা পরিষদ থেকে দরপত্রও নাকি ডাকা হয়েছে। ডোমকলের বিডিও শঙ্খদীপ দাসের অবশ্য বক্তব্য, মিটিংয়ে ওই কালভার্টের কথা সেখানকার সদস্য তুলে ধরেছিলেন। সমস্যাটি আমাদের নজরে রয়েছে।